নাবালিকাকে বিয়ে করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ৭২-এর বৃদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেধক
  • প্রকাশিত : রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪

কথায় বলে বুড়ো বয়সে ভিমরতি ! আর তাই পাকিস্তানের চরসাদ্দা শহরে ১২ বছর বয়সী এক মেয়েকে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন বছর বাহাত্তরের এক বৃদ্ধ। সেই বিয়ের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে পুলিশ। এআরওয়াই নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মেয়েটির বাবা তাকে বৃদ্ধ ব্যক্তির কাছে ১৭৯৯ ডলারে বিক্রি করতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঠিক নিকাহর আগে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে এবং ৭২ বছর বয়সী বরকে গ্রেপ্তার করে। ঠিক কী অভিযোগ ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে? হাবিব খান নামের ওই প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে বারো বছরের বালিকার নিকাহ স্থির হয়েছিল। কিন্তু আগে ভাগেই খবর চলে যায় প্রশাসনে। ভেস্তে যায় বিয়ে। পুলিশ হাবিবকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্ত মেয়েটির বাবা আলম সৈয়দও।
তবে তিনি পালিয়েছেন। দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে যে সম্প্রতি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি রাজনপুর এবং ঠাট্টায় অল্পবয়সী মেয়েদের বয়স্ক পুরুষদের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে করার একাধিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে। গত ৬ মে সোয়াতে ১৩ বছরের মেয়েকে বিয়ে করার অভিযোগে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মেয়েটিকে তার বাবা জোর করে বিয়ে দিতে গিয়েছিলো । মেয়েটিকে মেডিকেল চেকআপের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে পুলিশ অ্যাকশনে নেমে নাবালিকা মেয়ের বর ও বাবাকে হেফাজতে নেয় । গোটা পাকিস্তানেই বাল্যবিবাহ একটা বড় সমস্যা। অন্তত ৩০ শতাংশ মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় ১৮ বছরে না পৌঁছতেই। যদিও সেদেশে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৬। কিন্তু তারও আগে বিয়ে হয়ে যাওয়ার অভিযোগ অহরহ শোনা যায়। ইউনিসেফের পরিসংখ্যান বলছে, ১৮ বছরে পৌঁছনোর আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ পাকিস্তানি মেয়েদের।
সূত্র : wionews

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
LifePharm