একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে প্রথম ধাপের মাইগ্রেশন ও দ্বিতীয় ধাপের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর এ ফল প্রকাশ করা হয়। এতে যারা প্রথম ধাপে কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হননি বা আবেদন করেননি তারাই দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করেন। প্রথম ধাপে যারা কাঙ্ক্ষিত কলেজ পাননি তারা মাইগ্রেশনের জন্য আবেদন করেন। উভয়ের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
একাদশে ভর্তির জন্য তৈরি করা কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে। যারা দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির জন্য কলেজ পেয়েছে এবং যাদের মাইগ্রেশনে কলেজ পরিবর্তন হয়েছে তাদের আবেদনে দেওয়া মোবাইলে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডে জানিয়েছে, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির লক্ষ্যে পছন্দক্রম অনুযায়ী ১ম মাইগ্রেশনের ফল, এবং ২য় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। ২য় পর্যায়ের আবেদনের ভিত্তিতে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, নির্বাচন নিশ্চায়নের জন্য নিজ পোর্টালে লগ ইন করে পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে নিশ্চায়নের ফি প্রদান করে নির্বাচন নিশ্চায়ন করতে হবে। নির্বাচন ও নিশ্চায়ন সংক্রান্ত নির্দেশিকা এই লিঙ্কে এবং পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে নিশ্চায়ন ফি প্রদান করতে অসুবিধা হলে সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে নিশ্চায়ন ফি প্রদান করে নিশ্চায়ন করতে পারবেন এই লিঙ্কের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবে।
শিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে যারা কলেজ পাবেন তাদের ৫-৮ জুলাই রাত ৮টা পর্যন্ত নিশ্চায়ন করতে হবে। এরপর ১২ জুলাই দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর ৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে, যার ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই রাত ৮টায়। তিন ধাপে আবেদনের পর ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন শেষে ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আগামী ৩০ জুলাই সারা দেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।
গত ২৬ মে শুরু হয়ে ১৩ জুন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়। ২৩ জুন প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৪৮ হাজার শিক্ষার্থী প্রথম ধাপে পছন্দের কলেজ পায়নি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ফল জিপিএ-৫ পেয়েও প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য কলেজ মনোনয়ন পায়নি সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থী। আর একজনও শিক্ষার্থী পায়নি ২২০টি কলেজ।
চলতি বছর এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন আছে ২৫ লাখের মতো।