তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা বিচারপতি খায়রুল হকের আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেধক
  • প্রকাশিত : বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে রায় দিয়ে আলোচিত সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। এ পদে তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির প্রাপ্য বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধাদি পেয়ে আসছিলেন।

২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়ে আলোচিত হন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক।

এই মামলার শুনানিতে বেশিভাগ অ্যামিকাস কিউরি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখার পক্ষে মত দিলেও প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন।

তবে আদালতে ঘোষিত রায় পরবর্তী ১০ম ও ১১তম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে মত দিলে লিখিত রায়ে তা বাদ দেন বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। এরপর আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে।

বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ২০১৬, ২০১৯ ও সর্বশেষ ২০২২ সালে তিন বছর করে আবারো নিয়োগ পেয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

তিনি ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এএসআই আশরাফুল ওই এলাকায় জমি কেনাবেচার ব্যবসা করেন। এর জের ধরে মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিরোধ ছিল। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এএসআই আশরাফুল ইসলাম একজনকে দিয়ে মিজানকে ফোন করে ডেকে পাঠান। তিনি গেলে দুজনের মধ্যে একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় মিজানুরকে মারধর করা হলে তাঁকে রক্ষা করতে নাসির নামের এক ব্যক্তি এগিয়ে যান। তাঁকেও মারধর করেন আশরাফুল। একপর্যায়ে আশরাফুল পিস্তল বের করেন। তখন স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধরে পিস্তল কেড়ে নিয়ে পিটুনি দেন। পরে আশরাফুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কেড়ে নেওয়া পিস্তল পরে সেনাবাহিনী গিয়ে উদ্ধার করেছে। মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ছয়-সাত দিন আগেও তাঁরা (আশরাফুলরা) এসে তাঁর বাড়িতে হামলা করেছেন। আশরাফুল জমির ব্যবসা করেন। আজকে পিস্তল বের করে গুলি করতে চেয়েছিলেন তিনি। লোকজন ছিল বলে বেঁচে গেছেন বলে জানান মিজানুর। পরে লোকজন পিস্তল কেড়ে নেয়। সেনাবাহিনী এসে পিস্তলটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে বলে তিনি জানান।

LifePharm