কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, শাহবাগ অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেধক
  • প্রকাশিত : শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪

কোটা বাতিলের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন। সেখানে তারা কোটা বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড় হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে এটি টিএসসিসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল শাহবাগে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন।
বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’ ইত্যাদি বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সৈয়দ বায়াজিদ হোসেন বলেন, ‘এটি আমাদের নৈতিক আন্দোলন। একতরফাভাবে একপক্ষকে সুবিধা দিতেই এ কোটা প্রথা। এটা আমরা মানি না। সংবিধানে সুযোগের সমতার কথা বলা হয়েছে, সেখানে কোটার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

এদিকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩টির বেশি বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা ।
যদিও শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ইতোমধ্যে বন্ধ রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী লাবিবা বিনতে ওয়ালী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ প্লাটফর্মের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ব্যাচের পক্ষ থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে আন্দোলনের মুখে সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে বিদ্যমান ৫৬ শতাংশ কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে। ২০২১ সালে ওই পরিপত্রের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল নিয়ে হাইকোর্টে রিটের প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন হাইকোর্ট পরিপত্রটি বাতিল করে এবং সর্বশেষ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়। এরপর ১ জুলাই থেকে ফের আন্দোলনে নামেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
LifePharm