এক যুগ পেরিয়ে গেলেও ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে হারের ক্ষত এখনো শুকায়নি। পাকিস্তানের কাছে ২ রানে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল বাংলাদেশ। ওই হারের ক্ষত এবার আরো বেড়ে গেল, এবার বিশ্বকাপ হাতছাড়া হলো পাকিস্তানের কাছে।
তবে সাধারণ বিশ্বকাপ নয়, এই আসর ছিল দৃষ্টিহীনদের। দৃষ্টিহীনদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মঙ্গলবার পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ দল। তাতে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো টাইগারদের।
মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৩৯ রান করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে দুই ওপেনারের তাণ্ডবে স্বাগতিক পাকিস্তান মাত্র ১১.২ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
ফাইনালের আগ পর্যন্ত অপরাজেয় ছিল বাংলাদেশ দল। নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা- টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠে তারা। পরশু সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারিয়ে ওঠে ফাইনালে।
কিন্তু ফাইনালে আর পেরে উঠল না। পাকিস্তানের কাছে ধরাশায়ী হলো তারা। তাতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো রানার্সআপ হলো বাংলাদেশ। গত আসরে ভারতের কাছে হেরেছিল বিশেষ এই টাইগাররা।
ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন আরিফ হুসেইন। এছাড়া সালমান ৩১ ও আশিকুর ২২ রান করেন। ২ উইকেট নিয়ে ফাইনালে পাকিস্তানের সেরা বোলার বাবর আলী।
১৪০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার নিসার ও তানজিল বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরাতে থাকেন। নিসার ৭২ ও তানজিল ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেন।