মুজিববর্ষ উপলক্ষে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান বাংলাদেশে আসতে সম্মতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী একথা জানান।
তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর তথ্যমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির অনেক মিল রয়েছে। আপনারা জানেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং কোভিড পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে তিনি আসবেন বলে সম্মতিও দিয়েছেন।
এছাড়া, তুরস্কের টেলিভিশন টিআরটির ইংরেজি চ্যানেলে মুজিববর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠান সম্প্রচার এবং আগামী বছর আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দু’দেশের মধ্যে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বিনিময় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান ড. হাছান মাহমুদ।
বৈঠকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব খাজা মিয়া ও মন্ত্রীর দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত তুরান বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, আমরা মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেব। বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রতীক আর কামাল আতাতুর্ক হচ্ছেন তুরস্কের প্রতীক। এই দুই নেতার ভাস্কর্য দুই দেশে স্থাপন করব- এ ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং ঢাকার কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য স্থাপিত হবে। শিগগিরই এই কাজ শুরু করা হবে।