পরশের নেতৃত্বে যুবলীগ মেধাভিত্তিক সমাজ গঠন করবে: তাপস

নিজস্ব প্রতিবেধক
  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০

শেখ ফজলুল হক মনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতি গঠনে নিমজ্জিত ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তার ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

শুক্রবার সকালে বনানী কবরস্থানে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে যুবলীগ শেখ ফজলুল হক মনির সুযোগ্য সন্তান শেখ ফজলে শামস পরশের নেতৃত্বে একটা মেধাভিত্তিক সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। যুবসমাজ যখন সেই পর্যায়ে যেতে পারবে, তখনই শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির স্বপ্নপূরণ হবে।

শেখ ফজলুল হক মনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজধানীতে সক্রিয় ছিলেন উল্লেখ করে তাপস বলেন, স্বাধিকার আন্দোলন, ৬ দফা, মুক্তি সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। জাতির পিতার নির্দেশে মুজিব বাহিনী গঠন করে তিনি পূর্বাঞ্চল কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে জাতি গঠনে তরুণ সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং তাদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করেছিলেন বলেই জাতির পিতার নির্দেশে তিনি আওয়ামী যুবলীগ গঠন করেন।

জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির প্রাসঙ্গিকতা কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির শূন্যতা আমরা সবসময় অনুভব করব। তিনি নিজে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, সংগঠিত করেছিলেন এবং মুজিব বাহিনী কমান্ড  করেছিলেন। একই সঙ্গে স্বাধীনতার পর জাতি গঠনে তিনি তার কলমকে কাজে লাগিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উজ্জীবিত করার জন্য, তরুণ সমাজকে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির নিয়ে আসার জন্য তিনি যেমনি তার সাংগঠনিক দক্ষতা দেখিয়েছেন, তেমনি তার কলমের মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেতনায় তিনি নিমজ্জিত ছিলেন। সেই সংগ্রাম কিন্তু আমাদের এখনও শেষ হয়নি। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংগ্রাম আমাদের শেষ হয়ে যায়নি। সুতরাং শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আরও অনেক পথ এগিয়ে যেতে পারত।

এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার ডা. শরীফ আহমেদ, ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনিরুল ইসলাম আকন্দ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
LifePharm