সাধারণত আমরা সাদা চালের ভাত খেয়ে অভ্যস্ত, আবার স্বাস্থ্য সচেতন অনেকে খান বাদামি চালের ভাত। লাল চালের ভাত আমরা অনেকেই খাই না। তবে লাল চালের ভাতের স্বাস্থ্য উপকারিতা জানলে তা অনেকেই খেতে চাইবেন।
একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান রয়েছে লাল চালে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম। যেগুলো একাধিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীরদের জন্য লাল চালের ভাত খুবই উপকারী। ইনসুলিন লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে লাল চালের ভাত। এর লো গ্লাইসেমিক সূচক সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই চাল খুবই উপকারী।
লাল চালের ভাতের আরও স্বাস্থ্য উপকারিতা-
১. অ্যাজমা প্রতিরোধে পালমোনারি ফাংশনকে নিয়ন্ত্রণ করে লাল চাল। এই চালে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম যা দেহের অক্সিজেনের সার্কুলেশন ঠিক রাখে। অ্যাজমা প্রতিরোধে সাহায্য করে লাল চালের ভাত।
২. লাল চালের আছে আয়রন। খেলে অক্সিজেন শোষণে সাহায্য করে এবং দেহের সব সেল এবং টিস্যুতে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। দেহে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক থাকলে আপনি থাকবেন অ্যানার্জিতে ভরপুর।
৩. হজমে সাহায্য লাল চালের ফাইবারের দুর্দান্ত উৎস। এটি দেহ থেকে টক্সিন বের করে অন্ত্র ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৪. লাল চালের ভাত খেলে হার্ট ভালো থাকে। লাল চালে থাকা উপাদান দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের লেভেল কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকলে হার্টের সমস্যাও থাকবে দূরে।
৫. ভিটামিন বি-৬ এর ভালো উৎস হচ্ছে লাল চালের ভাত। লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে ভিটামিন বি-৬ লাগে। এর অভাবে একাধিক অসুস্থতা বাসা বাঁধবে শরীরে।
৬. ফ্যাটজাতীয় খাবার খেলে স্থূলতা বাড়ে। লাল চালের ভাত ফ্যাট ফ্রি হওয়ায় এটা খেলে আপনি মোটা হবেন না বা মেদ বৃদ্ধি হবে না।
৭. হাড় মজবুত করে লাল চালের ভাত। লাল চালে থাকা ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তাই এই চাল খেলে হাড় ক্ষয়ে যাবে না। জয়েন্টের সমস্যাও দূর করবে।
৮. ক্লান্তি দূর করে যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাদের জন্য লাল চালের কোনও বিকল্প নেই। এতে থাকা উপাদান শরীরের ক্লান্তি দূর করে।
৯. লাল চালের ভাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে। এটি মেদ বৃদ্ধি করে না। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে লাল চালের ভাত খেতেই পারেন।
১০. লাল চালে থাকা আয়রন ও ভিটামিন রেড ব্লাড সেল বা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। রেড রাইসে থাকা উপাদানগুলো স্কিনের জন্য খুব উপকারী। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্কিনের বয়স বাড়তে দেবে না।
লেখক: মেডিসিন ও ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ কনসালট্যান্ট (সিটি স্কিন সেন্টার, শান্তিনগর, ঢাকা)।