নারী শিক্ষা অধিকার কর্মী ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী মালালা ইউসুফজাই বিবাহ করেছেন। তার স্বামীর নাম অ্যাসার।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মালালা তার স্বামীর প্রথম নাম (অ্যাসার) ছাড়া বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি। তবে নেটিজেনরা ছবি দেখে তাকে অ্যাসার মালিক বলে চিহ্নিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, অ্যাসার মালিক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার।
মঙ্গলবার টুইটারে মালালা বিবাহ করার ঘোষণা দেন। তিনি লেখেন, আজকের দিনটি আমার জীবনের একটি মূল্যবান দিন। অ্যাসার এবং আমি গাঁট বেঁধেছি। পরিবারের সঙ্গে বার্মিংহামের বাড়িতে একটি ছোট নিকাহ অনুষ্ঠান উদযাপন করেছি।
উচ্ছ্বসিত মালালা লিখেছেন, আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন। সামনের পথটুকু একসঙ্গে চলার জন্য অধীর হয়ে আছি।
সম্প্রতি বিবাহ নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মালালা। এর মধ্যে তিনি বিবাহ সম্পন্ন করার ঘোষণা দিলেন।
বিখ্যাত মার্কিন ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগ-এর ব্রিটিশ সংস্করণের প্রচ্ছদে এক সাক্ষাৎকারে মালালা বলেছিলেন, আমি একটা ব্যাপার বুঝতে পারি না, মানুষকে কেন বিয়ে করতেই হবে। কাউকে জীবনে সঙ্গী করতে চাইলে কেন বিয়ের কাগজপত্রে সই করতে হবে। জীবনসঙ্গীকে বেছে নিতে হলে, কাগজে সই করার দরকার কী? এটা একটা পার্টনারশিপও তো হতে পারে।
এই মন্তব্যের জেরে মালালা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।
পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকার মেয়ে মালালা ইউসুফজাইয়ের জন্ম ১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই।
নারী শিক্ষারবিরোধী তালেবান জঙ্গিদের এলাকায় বসে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার পক্ষে বিবিসি ব্লগে লেখালেখি করে তিনি পশ্চিমা বিশ্বের নজর কাড়েন। তখন তার বয়স মাত্র ১১। কিন্তু নারী শিক্ষার পক্ষে কথা বলায় তাকে পড়তে হয় প্রাণনাশের হুমকির মুখে।
২০১২ সালের ৯ অক্টোবর সোয়াত উপত্যকার মিনগোরাত এলাকায় ১৪ বছর বয়সী মালালা ও তার দুই বান্ধবীকে স্কুলের সামনেই গুলি করে তালেবান জঙ্গিরা।
২০১৪ সালে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে মালালা নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতির ওপর স্নাতক (গ্র্যাজুয়েট) ডিগ্রি অর্জন করেছেন।