বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক ভারতের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন, যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন?
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা ও ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব প্রশ্ন রাখেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, ‘আমি একটি পত্রিকায় দেখেছি, ভারতের ৫২৭টি পণ্যের মধ্যে বিষক্রিয়া পাওয়া গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেগুলো নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। আরেকটি পত্রিকায় দেখালাম, তাদের দুটি ওষুধে ক্যান্সারের মিশ্র উপাদান পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুর, হংকং সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।’
আজকেও সীমান্তে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘যদি বন্ধু হও, যদি আমাদের প্রিয় ব্যক্তি হও, যদি আমাদের প্রতিবেশী হও, তাহলে সীমান্তে অহরহ গুলি কেন? তাই আজকে বাংলার জনগণ, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেছে।’
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, আমরা ভারতের বন্ধু হতে চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের শোষণ করবে, যে বন্ধু আমাদের টিপাইয়ের ন্যায্য হিস্যা দেয় না, সে কি বন্ধু হতে পারে? কোনোদিনও বন্ধু হতে পারে না। তাই আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করো।
এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আগ্রাসন মানি না, আমরা সীমান্ত হত্যা মানি না, আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করব এই সামাজিক আন্দোলন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমারা নাকি ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যেতে চাই। ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আপনারা (আওয়ামী লীগ) গেছেন। ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি করেছেন আপনারা। আমরা (বিএনপি) ষড়যন্ত্র বিশ্বাস করি না। আমার নেত্রী ষড়যন্ত্র বিশ্বাস করে না। আমার নেতা তারেক রহমান ক্ষমতায় যেতে চায় জনগণকে নিয়ে, ষড়যন্ত্র করে নয়।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের নবনির্বাচিত সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট মাওলানা কাজী আবুল হোসেন, তাতী দলের যুগ্ম আহবায়ক কাজী মনিরুজ্জামান, যুব জাগপার সভাপতি আমির হোসেন আমু প্রমুখ।