ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বগুড়া (পশ্চিম) ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র পর্যন্ত ৮৯ দশমিক ৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘৪০০ কেভি সিঙ্গেল সার্কিট সঞ্চালন লাইন’ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ও পরে বিকেল ৫টায় এ লাইন পরীক্ষামূলক চালু হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণবশত আনুমানিক রাত ১২টায় এটি চালু করা হবে বলে জানা যায়।
এ কারণে পাবনা, নাটোর ও বগুড়া জেলার কিছু এলাকার জন্য সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)। এর আগে সোমবার রাতে পিজিসিবির আইডিআরএনপিপির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. মাসুদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে নবনির্মিত লাইনটি সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকবে। এ অবস্থায় নবনির্মিত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের টাওয়ারে আরোহন, গবাদিপশু বাঁধা, টাওয়ারে রশি বেঁধে কাপড় শুকানো, লাইনের নিচে ও পাশে বাঁশঝাড় ও বড় গাছ রোপণসহ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সবাইকে ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন থেকে নিরাপদ (উভয় পাশে ২৩ মিটার) দূরত্বে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। উচ্চ ভোল্টেজের এই সঞ্চালন লাইন বা টাওয়ারের সংস্পর্শে এসে কেউ বিদ্যুতায়িত হলে পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
নতুন লাইন যেসব এলাকা দিয়ে যাচ্ছে- পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী, সলিমপুর ও মুলাডুলি ইউনিয়ন। নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার গোপালপুর, নগর, মাঝগাঁও ও বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন। গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন এবং সিংড়া উপজেলার চামারী, কলম, চৌগ্রাম ও রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন।
এ ছাড়া বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার নন্দীগ্রাম ও ভাটগ্রাম ইউনিয়ন এবং কাহালু উপজেলার জামগ্রাম ইউনিয়ন এই নির্দেশনার আওতাভুক্ত থাকবে।
৪০০ কেভি লাইন চালুর বিষয়ে বগুড়া কাহালুর দায়িত্বে থাকা ইনচার্জ প্রকৌশলী মামুনুর সবুর কালবেলাকে জানান, সকাল ১১টার সময় চালু হওয়ার কথা ছিল। পরে যে কোনো ত্রুটির কারণে বিকেলে চালু হওয়ার কথা থাকলেও আশা করছি তা রাত ১২টার দিকে চালু করা যাবে। উক্ত লাইন চালুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত লাইনের নিচে বা আশপাশে, কিংবা টাওয়ার এলাকায় অর্থাৎ বেশকিছু দূরত্বে সবাইকে থাকার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।