দত্তক নেয়া ২৪ বছর বয়সী ছেলে, যে কিনা একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু, তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে স্বামীর হাতে ধরা পড়েছেন থাইল্যান্ডের একজন নারী রাজনীতিক। এ নিয়ে বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই দত্তক ছেলের সঙ্গে ওই রাজনীতিকের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ভিডিও ধারণ করেছেন তার স্বামী। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই নারী রাজনীতিকের নাম প্রাপাপর্ন চোইওয়াধকোহ। ২৪ বছর বয়সী ফ্রা মাহা’র সঙ্গে এক বিছানায় ধরা পড়েছেন তিনি। তার স্বামীর নামের আদ্যক্ষর ‘টিআই’ দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিনি ৫ ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফেরেন এবং তার স্ত্রী ও ফ্রা মাহাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ওই বৌদ্ধ ভিক্ষুর সঙ্গে সন্দেহজনক সম্পর্ক ছিল প্রাপাপর্ন চোইওয়াধকোহ’র। প্রাপাপর্ন চোইওয়াধকোহ গত বছর তার স্বামীকে জানান ফ্রা মাহার জন্য তার খুব মায়া লাগছে।
এরপর এই দম্পতি গত বছর একটি উপাসনালয় থেকে ফ্রা মাহাকে দত্তক নেন। কিন্তু ঘটনা ধরা পড়ার পর ফ্রা মাহা বৌদ্ধ ভিক্ষু পালিয়ে গেছে। এ খবরে থাইল্যান্ডে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে হতাশা দেখা দিয়েছে।
একজন এক্সে লিখেছেন, এই খবরটা বিস্ফোরকের মতো। এর মধ্যে অনেক কিছু আছে। এটা একেবারে খাঁটি ফিকশনের মতো লাগছে। সম্পদের বিশ্ব প্রকৃতপক্ষে আকর্ষণীয় ও উন্মাতাল। আরেকজন লিখেছেন, ৪৫ বছর বয়সী প্রাপাপর্ন চোইওয়াধকোহ, তার ৬৪ বছর বয়সী স্বামী একটি ২৪ বছর বয়সী ছেলেকে দত্তক নিয়েছেন, যে কিনা একজন ভিক্ষু? এতো লেজেগোবরে অবস্থা। মনে হচ্ছে দত্তক নেয়া নয়, এটা একটা ‘বয়-টয়’কে দত্তক নেয়া। এমনকি নাটকেও এমন স্ক্রিপ্ট পাওয়া কঠিন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে ওই রাজনীতিকের স্বামী তার স্ত্রীর কাছে জানতে চাইছেন- তোমরা দু’জনেই কি খুব খুশি? জবাবে তার স্ত্রী আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করেন। দাবি করেন, তারা শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হননি। তারা শুধু গল্প করছিলেন। ফ্রা মাহাও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। বলেছেন, কিছুই ঘটেনি।