আল–জাজিরা বন্ধ ও টিকটক নিষিদ্ধ করার পেছনে কি একটাই কারণ

নিজস্ব প্রতিবেধক
  • প্রকাশিত : শনিবার, ১১ মে, ২০২৪

এপ্রিল মাসে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে যখন আল–জাজিরা নিষিদ্ধের উদ্যোগ চলছিল, তখন হোয়াইট হাউস খুব ‘সঠিকভাবেই’ বলেছিল, এতে তারা ‘উদ্বিগ্ন’। গত রোববার ইসরায়েল আল–জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। দ্য ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ইসরায়েলের এ পদক্ষেপকে বলেছে, ‘গণতন্ত্রের জন্য অন্ধকার একটি দিন’।

হোয়াইট হাউস অবশ্য ‘উদ্বেগ’ প্রকাশের জন্য অদ্ভুত একটা পথ বেছে নিয়েছে। জো বাইডেন ও তাঁর প্রশাসন সম্প্রতি এমন কতগুলো সেন্সরশিপ আইন ও আদালতে চলমান মামলায় সমর্থন ও উৎসাহ দিয়েছে, যেগুলো কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের জন্য ‘কালো দিন’ নিশ্চিত করেছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে সুপরিচিত দৃষ্টান্তটি হচ্ছে, গত মাসে জো বাইডেন টিকটক নিষিদ্ধ অথবা জোর করে বিক্রি করতে বাধ্য করার বিলে স্বাক্ষর করেছেন। ইসরায়েল যেমন করে আল–জাজিরা নিষিদ্ধ করেছে, ঠিক তেমন করে জাতীয় নিরাপত্তার ওপর হুমকি আসছে, এমন অপ্রমাণিত দাবির ওপর ভিত্তি করে বাইডেন প্রশাসন টিকটক নিষিদ্ধ করেছে।

আল–জাজিরা বন্ধ ও টিকটিক নিষিদ্ধ দুই আইনের ক্ষেত্রেই একটা সাধারণ মিল খোলাখুলিভাবে দেখা যাচ্ছে। সেটা হলো, ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধে যে ক্রমবর্ধমান নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে, সেটা থামিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা।
আল–জাজিরা বন্ধ ও টিকটিক নিষিদ্ধ দুই আইনের ক্ষেত্রেই একটা সাধারণ মিল খোলাখুলিভাবে দেখা যাচ্ছে। সেটা হলো, ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধে যে ক্রমবর্ধমান নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে, সেটা থামিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা।

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধ করাই শেষ ঘটনা নয়। এ আইন ভবিষ্যতে অন্য প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ করার দরজা খুলে দিল। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারে বিদেশি সাংবাদমাধ্যমগুলোর স্থানীয় শাখাগুলো। প্রেসিডেন্ট বাইডেন সেগুলোকে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি বলে মনে করেন।

ইসরায়েলের ক্ষেত্রে আমরা দেখছি, এ ধরনের আইন প্রয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জন্য যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বা সরকারের অনুমোদন দরকার। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এরতরফাভাবে নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। সে কারণে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধই যে শেষ ঘটনা, তা বলা যাবে না।

বাইডেন প্রশাসন অবশ্য এখানেই থেমে নেই। প্রেসিডেন্ট বাইডেন সম্প্রতি গোয়েন্দা কার্যক্রম ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত আইন রিফরমিং ইন্টেলিজেনস অ্যান্ড সিকিউরিং অ্যাক্টে (আরআইসিএএ) স্বাক্ষর করেছেন।

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
LifePharm