লঙ্কানদের গুঁড়িয়ে দিয়ে আসর শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার

নিজস্ব প্রতিবেধক
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪

বড় দু’দলের ম্যাচ ঘিরে প্রত্যাশাও ছিল অনেক। সমর্থকেরা অপেক্ষায় ছিল রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচের। কিন্তু সেই আশায় যেন পানি ঢেলে দিলেন এনরিখ নর্টযে। প্রতিপক্ষকে মাত্র ৭৭ রানে ধসিয়ে দিলে সেখানে জেয়া যায় হয়তো, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। বড় জয়েই আসর শুরু করলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

সোমবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে গায়ানায় মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। যেখানে নর্টজে-রাবাদার বোলিং তোপে ১৯.১ ওভারে ৭৭ রানে গুটিয়ে যায় আগে ব্যাট করা লঙ্কানরা। জবাবে ১৬.২ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে রীতিমত মুখ থুবড়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। নিউইয়র্কের ড্রপ-ইন পিচে শ্রীলঙ্কাকে দাঁড়াতেই দেয়নি প্রোটিয়া বোলাররা। শুরুতেই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কাকে হারায় লঙ্কানরা, মাত্র ৩ রান করে ফেরেন তিনি।

পাওয়ার প্লেতে আর উইকেট না হারালেও রান আসেনি মোটেও। আরেক ওপেনার কুশল মেন্ডিস করেন সর্বোচ্চ ১৯ রান। তিনে নামা কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। এছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছেন কেবল অ্যাঞ্জেলা ম্যাথিউস, ১৬ রান।

ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও সাদিরা সামারাবিক্রমা রানের খাতাই খুলতে পারেননি। শেষ দিকে মাথিসা পাথিরানা, নুয়ান থুসারাও আউট হন কোনো রান না করেই। বাকিদের মাঝে ৬ রান করেন চারিথ আশালাঙ্কা। দাসুন শানাকা ৯ ও ৭ রান করেন মহেশ থিকসানা।

প্রোটিয়া পেসার এনরিখ নর্টযে ছিলেন সবচেয়ে বিধ্বংসী। ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে তিনি নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা এবং কেশভ মাহারাজ। অন্যটি ওটনিয়েল বার্টম্যানের।

এত অল্প রানের পুঁজির পর আসলে ম্যাচ জেতার জন্য আর কিছু করার থাকে না। তবুও চেষ্টা করেন লঙ্কান বোলাররা। দ্বিতীয় ওভারেই রেজা হেন্ড্রিকসে (৪) ফেরান তুষারা। ৪.২ ওভারের মাথায় ফেরেন এইডেন মার্করামও। প্রোটিয়া অধিনায়ককে ১২ রানে ফেরান শানাকা।

কুইন্টন ডি ককও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৭ বল খেলে ২০ রানে ফেরেন তিনি। ট্রিস্টান স্টাবসও পারেননি ভরসা হতে, জয় থেকে ২০ রান দূরে থাকতে তিনি ফেরেন ২৮ বলে ১৩ রানে। তাদের দু’জনকেই ফেরান হাসারাঙ্গা।

তবে হেনরিখ ক্লাসেন আর কোনো বিপদ আসতে দেননি, ডেভিড মিলারকে নিয়ে নিশ্চিত করেন জয়। ২২ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন ক্লাসেন, মিলার করেন ৬ রান।

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
LifePharm