স্বস্তির জয়ে স্বপ্ন জিইয়ে পাকিস্তানের

নিজস্ব প্রতিবেধক
  • প্রকাশিত : বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪

শুরুটাই হয় স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নাটকীয় হারে। পরের ম্যাচেই চীরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ফসকে যায় মুঠোয় চলে আসা ম্যাচ। পরপর দুই ম্যাচ হেরে দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল পিঠ। চারদিকে বইছিল আলোচনা-সমালোচনার স্রোত। অবশেষে পাকিস্তান শিবিরে ফিরল খানিকটা স্বস্তি। কানাডাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিকে রইল বাবর আজমের দল। গতকাল রাতে নিউ ইয়র্কে পাকিস্তানের জয় ৭ উইকেটে। নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০৭ রানের লক্ষ্য ১৫ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে তারা।
হারলেই বিদায় এমন সমীকরণ নিয়ে এদিন কানাডার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। নিউ ইয়র্কের বোলিং সহায়ক উইকেটে পিচে পাকিস্তানের বোলিং লাইন আপের বিপক্ষে কানাডার ব্যাটসম্যানরা খুব বেশি সুবিধা করতে পারবেন, এমন প্রত্যাশা ছিল না কারোই। হলোও তাই। ব্যাটিংয়ে নামা প্রতিপক্ষের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের পাঁচজনই পারলেন না দুই অঙ্ক ছুঁতে। তবে ব্যতিক্রম ওপেনার অ্যারন জোন্স। কঠিন পিচে খেললেন অসাধারণ এক ইনিংস। শাহিন-আমিরদের দারুণভাবে সামলে তুলে নিলেন স্মরণীয় এক ফিফটি। তার ব্যাটিং দৃঢ়তায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ১০৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ (এ ভেন্যুর ইতিহাসে অবশ্য তাই) দাঁড় করায় কানাডা। ৪ চার ও সমান ছক্কায় জোন্সের ৪৪ বলে ৫২ রানের ইনিংসের বাইরে কানাডার ইনিংসে বলার মত কিছু নেই।
মোহাম্মদ আমির, হারিস রউফ, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহের বোলিং তোপে আর কেউ ক্রিজে দাঁড়াতেই পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান এসেছে ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নামা বোলার করিম সানার ব্যাট থেকে। এছাড়া অধিনায়ক সাদ বিন জাফর ছাড়া কেউই যেতে পারেননি দুই অঙ্কেই। আমির ১৩ রানে নেন ২ উইকেট। এছাড়া হ্যারিস রউফ ২টি উইকেট নেওয়ার পথে টি-টোয়েন্টিতে শততম উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন।
ছোট্ট লক্ষ্য তাড়ায় নেমে এদিন আর কোনো ভুল করেনি পাকিস্তান। শুরু থেকেই দেখে শুনে খেলেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এবারের বিশ^কাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা সাইম আইয়্যুবকে শুরুতে হারালেও বাবর আজমকে নিয়ে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে দেন রিজওয়ান। ৬২ রানের জুটিতে যখন ছেদ পরে অধিনায়ক বাবরের (৩৩ বলে ৩৩) বিদায়ে জয় থেকে তখন ১৪ রান দূরে পাকিস্তান। ঠিক সেই সময় মাত্র ৪ রানে ফখর জামানকে হারিয়ে কিছুটা ছন্দ হারায় গত আসরের রানার্সআপরা। তবে উসমান খানকে নিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান (৫৩ বলে অপরাজিত ৫৩)। তবে বল হাতে কানাডাকে অল্পে গুটিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে পেসার আমিরের হাতেই।
এই জয়ে সুপার এইটে যাওয়ার ক্ষীণ আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান। ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপে তিন নম্বরে আছে তারা। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে ভারত শীর্ষে, যুক্তরাষ্ট্রে দুইয়ে আছে। ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তানের চেয়ে নেট রানরেটে পিছিয়ে চারে কানাডা। ২ ম্যাচের দুটিই হেরে তলানিতে আয়ারল্যান্ড। গ্রুপের শীর্ষ দুই দল পাবে সুপার এইটের টিকিট। সে লক্ষ্যে পাকিস্তান শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। ফ্লোরিডার লডারহিলে আগামী রোববার ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়।

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
LifePharm