কোরবানির ঈদে সরকার নির্ধারিত দামেরও অর্ধেক দামে বিক্রি হয়েছে কাঁচা চামড়া। চামড়া রফতানি আগে থেকেই কমছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদার চামড়াজাত পণ্যের ৪০ ভাগ আমদানি করা হয়। চামড়াশিল্প সম্ভাবনাময় হলেও এমন পরিস্থিতি কেন?
চামড়াশিল্প থেকে বাংলাদেশের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫০০ কোটি ডলারের। তবে তা ঘুরপাক খাচ্ছে ১০০ কোটি ডলারের ঘরে।
তার কথায়, ‘রফতানি আয় কমে যাওয়ার কারণ রফতানির পরিমাণ কমে যাওয়া নয়। আসলে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কারখানা মালিকরা। রফতানির তালিকায় অনেক দেশ থাকলেও এখন প্রধানত চীনে বেশি রফতানি হয়।’
বিশ্বব্যাপী চামড়াজাত পণ্যের বাজারের আকার প্রায় ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের, যার ৩০ ভাগ দখল করে আছে চীন।
শাহীন আহমেদ বলেন, ‘এখানে দু’ধরনের বাস্তবতা আছে। আমাদের কারখানাগুলো যেমন কমপ্লায়েন্স না, আবার আন্তর্জাতিক বাজারেও চাহিদা কমে গেছে। বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক খারাপ অবস্থা তার কারণে চাহিদা কমছে। ইউরোপে চাহিদা কমছে। আবার ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারেও চাহিদা অনেক কমে গেছে চামড়াজাত পণ্যের। মানুষ এখন খাদ্য কিনবে, না ফ্যাশন করবে সেই প্রশ্ন এসে গেছে। আর আর্টিফিসিয়াল লেদারও চামড়ার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’
এদিকে এবার কোরবানির ঈদে সরকার নির্ধারিত দামেরও অর্ধেক দামে কাঁচা চামড়া বিক্রি হয়েছে। কাঁচা চামড়ার দাম না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে এটা চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি কম হওয়ার একটি কারণ। কিন্তু সেই কারণে এত দাম কম হওয়ার কথা নয়। এখানে একটি সিন্ডিকেট আছে, যারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে কম দামে কাঁচা চামড়া কিনে বেশি লাভ করে।’
একই কথা বলেন আবুল কালাম আজাদ। তার মতে, ‘কাঁচা চামড়া কয়েক হাত ঘুরে কারখানায় যায়। ফলে কয়েক ধাপে মধ্যস্বত্ব ভোগী থাকে।’
বাংলাদেশে এখনো চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্য রফতানি পণ্যের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। তৈরি পোশাকের পরই এর অবস্থান।
সূত্র : ডয়চে ভেলে