কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেধক
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

কুয়াকাটায় ফ্রেন্ডস পার্ক ইন নামের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে জাহিদ হাসান জিহাদ (২০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার বিকেলে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও মহিপুর থানা পুলিশ হোটেলটির তৃতীয় তলার সি-৫, রুমের দরজা ভেঙে ফ্যানের সাথে জুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। পরে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়।

এ সময় তার কক্ষ থেকে ইয়াবা খাওয়ার সরঞ্জাম, সিগারেটের প্যাকেট ও খাবার আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়।

জিহাদের বাড়ি ফরিদপুর জেলার চন্দ্রপাড়া থানার সদরপুরে।

পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুর ২টায় জিহাদ ওই হোটেলে এসে রুম ভাড়া নেন। রাতে খাবার নিয়ে রুমে প্রবেশ করেন। সোমবার দুপুরে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, খবর পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় প্রাথমিক সুরাতহাল শেষে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। জিহাদের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এএসআই আশরাফুল ওই এলাকায় জমি কেনাবেচার ব্যবসা করেন। এর জের ধরে মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিরোধ ছিল। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এএসআই আশরাফুল ইসলাম একজনকে দিয়ে মিজানকে ফোন করে ডেকে পাঠান। তিনি গেলে দুজনের মধ্যে একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় মিজানুরকে মারধর করা হলে তাঁকে রক্ষা করতে নাসির নামের এক ব্যক্তি এগিয়ে যান। তাঁকেও মারধর করেন আশরাফুল। একপর্যায়ে আশরাফুল পিস্তল বের করেন। তখন স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধরে পিস্তল কেড়ে নিয়ে পিটুনি দেন। পরে আশরাফুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কেড়ে নেওয়া পিস্তল পরে সেনাবাহিনী গিয়ে উদ্ধার করেছে। মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ছয়-সাত দিন আগেও তাঁরা (আশরাফুলরা) এসে তাঁর বাড়িতে হামলা করেছেন। আশরাফুল জমির ব্যবসা করেন। আজকে পিস্তল বের করে গুলি করতে চেয়েছিলেন তিনি। লোকজন ছিল বলে বেঁচে গেছেন বলে জানান মিজানুর। পরে লোকজন পিস্তল কেড়ে নেয়। সেনাবাহিনী এসে পিস্তলটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে বলে তিনি জানান।

LifePharm