শাহবাগে শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরা পুলিশ পরিদর্শক আরশাদ বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেধক
  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শাহবাগ থানায় কর্মরত নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো: আরশাদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রোববার ডিএমপির কমিশনার মো: মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

আরশাদ হোসেন গত ৩১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে ঢাকার নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলামের মুখ চেপে ধরেন।

সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তার এরূপ অপেশাদার কর্মকাণ্ডের ফলে পুলিশের কার্যক্রম সম্পর্কে জনসম্মূখে বিরূপ ধারণার সৃষ্টিসহ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এএসআই আশরাফুল ওই এলাকায় জমি কেনাবেচার ব্যবসা করেন। এর জের ধরে মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিরোধ ছিল। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এএসআই আশরাফুল ইসলাম একজনকে দিয়ে মিজানকে ফোন করে ডেকে পাঠান। তিনি গেলে দুজনের মধ্যে একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় মিজানুরকে মারধর করা হলে তাঁকে রক্ষা করতে নাসির নামের এক ব্যক্তি এগিয়ে যান। তাঁকেও মারধর করেন আশরাফুল। একপর্যায়ে আশরাফুল পিস্তল বের করেন। তখন স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধরে পিস্তল কেড়ে নিয়ে পিটুনি দেন। পরে আশরাফুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কেড়ে নেওয়া পিস্তল পরে সেনাবাহিনী গিয়ে উদ্ধার করেছে। মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ছয়-সাত দিন আগেও তাঁরা (আশরাফুলরা) এসে তাঁর বাড়িতে হামলা করেছেন। আশরাফুল জমির ব্যবসা করেন। আজকে পিস্তল বের করে গুলি করতে চেয়েছিলেন তিনি। লোকজন ছিল বলে বেঁচে গেছেন বলে জানান মিজানুর। পরে লোকজন পিস্তল কেড়ে নেয়। সেনাবাহিনী এসে পিস্তলটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে বলে তিনি জানান।

LifePharm