গেল মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় কোরআন তেলাওয়াত করা শিক্ষার্থীদের নাম-পরিচয় জানতে চেয়ে আরবি বিভাগের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল বাছির। এ ঘটনায় সে সময় বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ হলেও এবার তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রফেসর বাছিরকে কোরআন তেলাওয়াত করে শোনানো হয় এবং তার মঙ্গল ও হেদায়েত কামনায় করা হয়েছে বিশেষ  মোনাজাত। গতকাল কলা অনুষদের ডিন অফিসে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ড. বাছিরকে বিধ্বস্ত দেখা যায়।

দুপুরে শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগের দাবিতে কলা অনুষদের সামনে জড়ো হন। ডিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলাভবনের সামনে এলে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ সময় তিনি কলাভবনের তিন তলায় অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীরা সেখানে গিয়েও বিক্ষোভ করলে দ্বিতীয় তলায় ডিন অফিসে পদত্যাগ করেন তিনি। পদত্যাগের পর শিক্ষার্থীরা তার অনুমতি নিয়ে তাকে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত শোনান। পাশাপাশি তার মঙ্গল কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে প্রফেসর ড. আবদুল বাছির বলেন, আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে রেখেছি।

শিক্ষার্থীরা না এলেও আমি পদত্যাগ করতাম। বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীরা কোনো খারাপ আচরণ করেনি বলেও জানান তিনি। সেই সঙ্গে কোরআন তেলাওয়াতের পর বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি আমার ব্যাখ্যা দিয়েছি। গত ১৬ই মার্চ ঢাবিতে কোরআন পাঠের ঘটনায় আরবি বিভাগের চেয়ারম্যানকে শোকজ করে কলা অনুষদের তৎকালীন ডিন। এর আগে ১০ই মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের বটতলায় মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে কোরআন তেলাওয়াত আসরের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা।