গত ১৪ বছরে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধানে একটি তদন্তে কমিশন গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।
পাঁচ সদস্যের এ কমিশনের নেতৃত্ব দেবেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল হোসন চৌধুরী।
অন্য সদস্যরা হলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো: ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বেসামরিক বাহিনীর পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত ঘটনাকেও কমিশনের তদন্তের আওতায় রাখা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতর (ডিজিএফআই), কোস্ট গার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্য কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের নিমিত্ত কমিশনটি গঠন করা হয়েছে।’
এর যে কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে তা হলো –
– ২০১০ সালে পহেলা জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের সনাক্ত করা এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল সেটা নির্ধারণ করা;
– জোরপূর্বক গুমের ঘটনাসমূহের বিবরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা এবং এ ব্যাপারে সুপারিশ প্রদান;
গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া গেলে আত্মীয় স্বজনকে অবহিত করা;
– গুমের ঘটনা সম্পর্কে অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত তদন্তের তথ্য সংগ্রহ করা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, কমিশনকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
সূত্র : বিবিসি