হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে হাসপাতালগুলোতে মাত্র দুই দিনের জ্বালানি অবশিষ্ট আছে। অবিলম্বে গাজায় জ্বালানির ট্রাক ঢুকতে না দেয়া হলে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এখানকার সব হাসপাতালকে হয় পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে, না হলে পরিষেবার পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত যখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তারপরেই এই সতর্কবার্তা সামনে এলো। জাতিসংঘ এবং অন্যান্যরা বারবার গাজায় মানবিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর নিন্দায় সরব হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরেই গাজার বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে উত্তর গাজায় লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। খাবার, ওষুধ, জ্বালানি-সহ যাবতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের গাজায় প্রবেশের রাস্তাও বন্ধ করে রেখেছে তারা। হামাস-পরিচালিত গাজায় প্রশাসন বারবার অভিযোগ করেছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি, গাজার সাধারণ মানুষকে না খেতে দিয়ে মেরে ফেলার পরিকল্পনাও করছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের চিকিৎসকরা বলেছেন যে, বেইট লাহিয়া এবং নিকটবর্তী জাবালিয়ায় রাতারাতি ইসরায়েলি অভিযানের ফলে ডজন ডজন মানুষ নিহত বা নিখোঁজ। গাজার হাসপাতালগুলোর পরিচালক মারওয়ান আল-হামস বলেছেন- ‘আমরা একটি জরুরি সতর্কতা উত্থাপন করছি কারণ গাজা স্ট্রিপের সমস্ত হাসপাতাল ৪৮-ঘন্টার মধ্যে কাজ করা বন্ধ করে দেবে বা তাদের পরিষেবা কমিয়ে দেবে। জ্বালানি প্রবেশে (ইসরায়েলের) বাধা দেয়ার কারণে।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে আংশিকভাবে পরিচালিত হাসপাতালগুলোর জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। উত্তর গাজায় হামাসকে পুনঃসংগঠিত করা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ইসরাইল ৬ অক্টোবর তাদের আকাশ ও স্থল অভিযান শুরু করে। জাতিসংঘ বলেছে যে এলাকা থেকে ১ লক্ষেরও এরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন সেখানকার মানুষ ‘ভীষণভাবে ক্ষুধার্ত’।
সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া