ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ‘ভারতের চোখের দিকে তাকিয়ে এখন বাংলাদেশী প্রত্যেক নাগরিক কথা বলছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ষড়যন্ত্র করে আমাদের তরুণ যুবকদের ধ্বংস করতে চায়। নৈতিকভাবে দুর্বল করার জন্য মাদক দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে শেষ করে দিতে চায়। সেই সময়ে আমরা এই তরুণ যুবকদের রক্ষায় হাতে ব্যাট, ক্রিকেট বল, ফুটবল, ভলিবল, খেলাধুলার যাবতীয় সরঞ্জাম তুলে দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘দেশের সীমান্ত ব্যবহার করে তারা তাদের সেবা দাসের সহযোগিতায় আমাদের তরুণ কিশোরদের হাতে মাদক ও অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। অথচ এই তরুণ কিশোরদের কাজ হচ্ছে ভিন্ন দেশের শত্রুদের ষড়যন্ত্র থেকে তার মাতৃভূমিকে বাঁচাতে সৈনিকের ভূমিকায় থাকা। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি খেলার মাঠকে আমরা মাদকের পরিবর্তে শরীর চর্চা ও খেলাধুলার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীতে যুব উন্নয়ন সংস্থা আয়োজিত বিজয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আন্তঃথানা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘ছাত্র-জনতার একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজকে বাংলাদেশের তরুণ যুবকেরা সত্যিকার বিজয় উদযাপন করছে। খেলায় যেভাবে জয় পরাজয় রয়েছে এবং নির্দিষ্ট টার্গেট নিয়ে আমরা যেভাবে সকল খেলায় অংশগ্রহণ করি, তেমনি একজন ঈমানদার হিসেবে আমাদের প্রত্যেককে জান্নাতের উপযোগী হওয়ার টার্গেট নির্ধারণ করে জীবনযাপন করতে হবে।’
ডিসেম্বর মাসব্যাপী পুরো ঢাকা মহানগরীজুড়ে এই আন্তঃথানা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলবে। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির জননেতা মো: নূরুল ইসলাম বুলবুলের নির্দেশনা অনুযায়ী এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় যুব পরিচালক মো: কামরুল আহসান হাসান, মো: রুহুল আমিন, মুহাম্মদ বুরহানউদ্দীন, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড যুব নেতা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মো: রবিউল ইসলাম, নোমান শিকদার, মো: মুতাসিম বিল্লাহ, গোলাম আজম, মো: মাহফুজুর রহমান, মুকিত, মুকুল প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ কামাল হোসাইন বলেন, ‘আজকের এই আয়োজন দেশের বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে। তরুণ যুবকদের দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনে। প্রতিটি তরুণ কিশোরের মনে দেশের প্রতি তার দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার কাজে আমরা এ ধরনের কার্যক্রম চাই।’