পূবাইলে শ্বশুরবাড়িতে জামাইকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

নিজস্ব প্রতিবেধক
  • প্রকাশিত : শনিবার, ১১ মে, ২০২৪

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসা জামাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হয়েছেন শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলার বালুঘাট গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (৪৫) (শ্বশুর), তার ছেলে হুমায়ুন কবির (১৯) ও মেয়ে কারিমা (২২) এবং শরীয়তপুরের নড়ীয়া উপজেলার লিটন (৪৬)।
আজ শনিবার পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিহত রবিউল ইসলাম (২৮) টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ৪৯ নং ওয়ার্ডের এরশাদনগর এলাকার তুহিন তালুকদারের ছেলে।

ওসি বলেন, বছরখানেক আগে পূবাইলের সাতানি পাড়া এলাকার কারিমার সঙ্গে রবিউলের বিয়ে হয়। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। ঈদের কেনাকাটা নিয়েও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। এ নিয়ে কারিমা তার বাবার বাড়িতে চলে যান। রবিউল গত ৫ মে তার শ্বশুরবাড়িতে গেলে স্ত্রীর সঙ্গে আবারও ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবারের লোকজনই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে রবিউল মারা যান।
ওসি বলেন, এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাচ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ওসি বলেন, এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাচ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এএসআই আশরাফুল ওই এলাকায় জমি কেনাবেচার ব্যবসা করেন। এর জের ধরে মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিরোধ ছিল। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এএসআই আশরাফুল ইসলাম একজনকে দিয়ে মিজানকে ফোন করে ডেকে পাঠান। তিনি গেলে দুজনের মধ্যে একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় মিজানুরকে মারধর করা হলে তাঁকে রক্ষা করতে নাসির নামের এক ব্যক্তি এগিয়ে যান। তাঁকেও মারধর করেন আশরাফুল। একপর্যায়ে আশরাফুল পিস্তল বের করেন। তখন স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধরে পিস্তল কেড়ে নিয়ে পিটুনি দেন। পরে আশরাফুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কেড়ে নেওয়া পিস্তল পরে সেনাবাহিনী গিয়ে উদ্ধার করেছে। মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ছয়-সাত দিন আগেও তাঁরা (আশরাফুলরা) এসে তাঁর বাড়িতে হামলা করেছেন। আশরাফুল জমির ব্যবসা করেন। আজকে পিস্তল বের করে গুলি করতে চেয়েছিলেন তিনি। লোকজন ছিল বলে বেঁচে গেছেন বলে জানান মিজানুর। পরে লোকজন পিস্তল কেড়ে নেয়। সেনাবাহিনী এসে পিস্তলটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে বলে তিনি জানান।

LifePharm