গুলি করে সহকর্মীকে হত্যা : ৭ দিনের রিমান্ডে কনস্টেবল কাউসার

নিজস্ব প্রতিবেধক
  • প্রকাশিত : রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪

রাজধানীর বারিধারায় পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হককে গুলি করে হত্যায় অভিযুক্ত আরেক পুলিশ কনস্টেবল কাউসার আলীকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

রোববার (৯ জুন) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে কাউসার আলীকে তোলা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আদালত কাউসারের সাতদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, নিহত মনিরুল ইসলামের ভাই কাউসার আলীকে আসামি করে গুলশান থানায় মামলা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, পুলিশ কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করে হত্যা করা আরেক পুলিশ সদস্য কাউসার আলীকে বিকেলে রিমান্ড আবেদন করে সিএমএম আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, শনিবার রাত পৌনে ১২টায় বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল কাউসার আলী আরেক পুলিশ সদস্য মনিরুল হককে এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুরুতর আহত হন। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এদিকে ঘটনা ঘটার পর স্থানীয় নিরাপত্তা রক্ষীরা কাউসার আলীকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এএসআই আশরাফুল ওই এলাকায় জমি কেনাবেচার ব্যবসা করেন। এর জের ধরে মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিরোধ ছিল। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এএসআই আশরাফুল ইসলাম একজনকে দিয়ে মিজানকে ফোন করে ডেকে পাঠান। তিনি গেলে দুজনের মধ্যে একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় মিজানুরকে মারধর করা হলে তাঁকে রক্ষা করতে নাসির নামের এক ব্যক্তি এগিয়ে যান। তাঁকেও মারধর করেন আশরাফুল। একপর্যায়ে আশরাফুল পিস্তল বের করেন। তখন স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধরে পিস্তল কেড়ে নিয়ে পিটুনি দেন। পরে আশরাফুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কেড়ে নেওয়া পিস্তল পরে সেনাবাহিনী গিয়ে উদ্ধার করেছে। মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ছয়-সাত দিন আগেও তাঁরা (আশরাফুলরা) এসে তাঁর বাড়িতে হামলা করেছেন। আশরাফুল জমির ব্যবসা করেন। আজকে পিস্তল বের করে গুলি করতে চেয়েছিলেন তিনি। লোকজন ছিল বলে বেঁচে গেছেন বলে জানান মিজানুর। পরে লোকজন পিস্তল কেড়ে নেয়। সেনাবাহিনী এসে পিস্তলটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে বলে তিনি জানান।

LifePharm