পিতা ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের কোলকাতায় গিয়ে খুন হয়েছেন। তার লাশ পাওয়া যায়নি। ভারত এ নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে তোলপাড় চলছে। তিনবারের নির্বাচিত এমপি আজীমের অপরাধ জগতের অপকান্ড নিয়ে প্রতিদিন মিডিয়ায় অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে। ভারতের আইন শৃংখলা বাহিনী খুন হওয়া বিল্ডিয়ের পানির ট্যাঙ্ক থেকে চার কেজি গোশত উদ্ধার করেছে। আবার পুকুর থেকে হাড় উদ্ধার হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল তিন দেশে আইন শৃংখলা বাহিনী দৌঁড়ঝাপ করছে। পরিবারের সদস্যদের যখন শোকে বিহব্বল হওয়ার কথা; তখন নিখোঁজ আজীমের ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। ছোটবেলা থেকে রাজনীতি করেন জানিয়ে তিনি রাজনীতির মাঠে বাবার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার কথা জানিয়েছেন। তিনি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি হওয়ার খায়েশের কথা প্রকাশ করেছেন।
একটি অনলাইন মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, আমার প্যাশন রাজনীতি করা এবং আমি ভবিষ্যতে রাজনীতি করবো। আল্লাহ যদি কপালে রাখেন, বাবার অসম্পূর্ণ কাজগুলো বাস্তবায়ন করবো। বাবার আশা পূরণ করবো। প্রধানমন্ত্রী আমার বাবাকে ভালোবাসতেন, স্নেহ করতেন। ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে ৩০০ জন সংসদ সদস্য। তার মধ্যে আমার বাবা ছিলেন তিনবারের এমপি। আমার অভিভাবক ছিলেন বাবা, এখন আমার অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী। তিনি আমাকে রাজনীতিতে সহযোগিতা করবেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সবকিছুর খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
এই মুহূর্তে রাজনীতির মাঠ কতটা সহজ হবে প্রশ্ন করা হলে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, যেহেতু বাবা নেই, রাজনীতি আমার জন্য কঠিন হবে বলে মনে করি। তবে মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী যদি আমার পাশে থাকেন, সহযোগিতা করেন তাহলে কোনো কিছুতেই অসুবিধা হবে না। কারণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হালটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই ধরেছেন। আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) তার পুরো পরিবারকে হারিয়েছেন। সেক্ষেত্রে একটা মেয়ে হয়ে যদি মফস্বলে রাজনীতি করতে চাই জনপ্রতিনিধি হতে হাই অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী আমাকে সহযোগিতা করবেন। প্রমাণস্বরূপ ভবিষ্যতে হয়তো দেখতেও পারবেন আপনারা। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডরিন বলেন, আমার বাবার দেখানো পথে চলেছি এতদিন। অষ্টম শ্রেণিতে থাকাকালীন ছাত্রলীগের মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ শুরু করি। জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও আমার সরব উপস্থিতি ছিল। ছাত্রলীগ রাজনীতির আঁতুড়ঘর। সেজন্য আমি দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কালীগঞ্জের প্রত্যেকটি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা আমাকে চেনেন। রাজনীতি করবো। কারণ আমার বাবার স্বপ্ন ছিল রাজনীতি করার। এজন্য আমাকে আইন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে বলেছেন। আমার প্যাশন রাজনীতি করা এবং আমি ভবিষ্যতে রাজনীতি করবো।
আপনার বাবার ব্যবসা-বাণিজ্য এখন সামলাতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, সামলাতে পারবো না কেন। আমি একজন শিক্ষিত মেয়ে। আমার বাবা জন্ম দিয়েছেন, শিক্ষিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করেছেন। আমাকেও সেভাবে তৈরি করতে হবে। সেদিক থেকে আমি নিজেকে অনেক সক্ষম বলে মনে করি। প্রধানমন্ত্রী একটি দেশ চালালে আমি সামান্য এটুকু (কালীগঞ্জ) চালাতে পারবো না? রাজনীতি ও বাবার ব্যবসা এখন দেখভাল করবো।