সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে তীব্র আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা কোটা বাতিলসহ চার দফা দাবিতে সারা দেশে‘বাংলা ব্লকেড’ নামে একটি কর্মসূচিও পালন করেছে।
রোববারের এই কর্মসূচিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির কারণে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
প্রায় ৫ ঘণ্টা ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি রাস্তা অবরোধ শেষে রাত ৮টার পর রাস্তা ছাড়েন আন্দোলনকারীরা।
একই দাবিতে সোমবার সারা দেশে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে আবারো অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’র ব্যানারে এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, চাকরিতে কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা।
যদিও দুপুরে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কোটা আন্দোলনের নামে যেটা করা হচ্ছে, তা পড়াশোনার সময় নষ্ট করা। এটার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না।’
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে ওই সময় কোটা পদ্ধতি বাতিল করে সরকার। পরে ২০২১ সালে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করলে গত ৫ জুন এক রায়ের মাধ্যমে আবারো ফিরে আসে কোটা ব্যবস্থা।
রোববার সচিবালয়ের এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে ইস্যুতে আন্দোলন করছে, সেটা তো সরকারি সিদ্ধান্ত। আদালত ভিন্ন রায় দিয়েছেন। আমরা তো সিদ্ধান্ত দিইনি, দিয়েছেন আদালত।’
এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে যদি আদালতের এই রায় বহাল থাকে তাহলে শিক্ষার্থীরা কী করবেন?
জবাবে কোটা সংস্কার আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সংগঠক তৌহিদ সিয়াম বলেন,‘২০১৮ সালে ছাত্রদের আন্দোলন হয়েছিল কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে। কিন্তু সরকার সেটি বাতিল করেছে, তাই সেই সঙ্কট জিইয়ে রাখা হয়েছে।’
‘বাংলা ব্লকেড’, প্রায় অচল ঢাকার রাস্তা
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনে নামে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার রাজধানীর শাহবাগ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তখন বলা হয়েছিল রোববার রাজধানীসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব মহাসড়ক আটকে দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, রোববার দুপুরের পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিভাগ ও হল থেকে শিক্ষার্থীরা ব্যানার ও ফেস্টুনসহ আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন। পরে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে অবস্থান নেন শাহবাগ মোড়ে।
এরপর একে একে শাহবাগ মোড়ের চারটি রাস্তা বন্ধ করে দেয় শিক্ষার্থী। ফলে শাহবাগ থেকে প্রেসক্লাবের দিকের রাস্তা, শাহবাগ থেকে বাংলামোটরের দিকের রাস্তা, শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাবের রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর কিছুক্ষণ পরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শিক্ষার্থীরা যান শাহবাগের অদূরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মোড়ে। সেখানে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় রাস্তা।
সন্ধ্যায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা জানান, এই আন্দোলনের সাথে জড়িত তাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আইনশৃংখলা বাহিনী ডেকে নিয়েছে। তাদেরকে ছেড়ে না দেয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরবেন না।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড় থেকে মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড়ে জমায়েত অবস্থান নেন। তখনই বন্ধ হয়ে যায় ওই এলাকার যান চলাচল।
এর কিছুক্ষণ পর ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রীরা মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে আসে। রাস্তায় অবস্থান নিয়ে তারা ওই এলাকার যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এ সময় শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বাইরে অন্য সব কোটা বাতিলের পক্ষে তারা বক্তব্য ও স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচি ঘিরে শাহবাগ, নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাব, বাংলামোটরসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচি ঘিরে তীব্র যানজট দেখা দেয় রাজধানী ঢাকায়। বিভিন্ন সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ থাকে যান চলাচল।
দেশ জুড়ে মহাসড়কে অবস্থান
রাজধানী ঢাকায় দুপুরের পর থেকে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু হলেও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রায় দিনভর পালন করে‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি।
চার দফা দাবিতে সকাল সোয়া ১১টার দিকে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই আন্দোলনের এক সংগঠক জাহিদ বাপ্পী বলেন,‘আমাদের আন্দোলন কোটা পদ্ধতি সংস্কারের। আমরা চাই যৌক্তিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী কোটা সুবিধা পাক। সফলতা না আসা পর্যন্ত এই আন্দোলন থেকে আমরা সরব না।’
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সমর্থনে সকাল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রামের ষোল শহর, জিইসি ও অক্সিজেন মোড়ে অবস্থান নেয়। এ সময় চট্টগ্রামের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেয় এই আন্দোলনে। এতে বন্ধ হয়ে যায় চট্টগ্রামের সড়ক-মহাসড়কের যান চলাচল।
কোটা বাতিলের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি এলাকায়। এতে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা চট্টগ্রামের যান চলাচল। এসময় রাস্তা অবরোধ করে স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
একই দাবিতে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে তারা আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন ও কোটা বাতিলের দাবি জানান।
এছাড়া দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বন্ধ করে দেয় যান চলাচল।
আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
২০১৮ সালে কোটা সংস্কার করে ১০ শতাংশ করার দাবিতে আন্দোলনে নামে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
আন্দোলনের একপর্যায়ে সরকার ওই বছর নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে।
তবে ২০২১ সালে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করলে গত ৫ জুন এক রায়ের মাধ্যমে আবারো ফিরে আসে কোটা। এরপর কোটা বাতিলে গত ১ জুলাই আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলন এখন দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে এ নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন,‘হাইকোর্টের রায়, এটার বিরুদ্ধে এভাবে আন্দোলন করা, এটা তো সাবজুডিস। কারণ, আমরা সরকারে থেকে কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে পারি না। কারণ, হাইকোর্ট রায় দিলে সেটা হাইকোর্ট থেকেই আবার আসতে হবে।’
আবারো কোটার দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন,‘আজকে আন্দোলনের নামে যেটা আবার করা হচ্ছে, পড়াশোনার সময় নষ্ট করা, এটার কোনও যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না।’
কোটা সুবিধা বঞ্চিত হওয়ার কারণে যে সঙ্কট হচ্ছে সেটি নিয়ে মতামত দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আগে কোটা থাকাতে মেয়েরা যে সংখ্যায় সুযোগ পেত, সে সুযোগ কিন্তু এই গত কয় বছরে পায়নি। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষগুলো কিন্তু বঞ্চিত থেকে গেছে। তারাও চাকরি পাচ্ছে না আর এ রকম বঞ্চিত হওয়ার কারণেই কেউ মামলা করে, যাতে হাইকোর্ট একটা রায় দেয়।’
তিনি মন্তব্য করেন, যারা এর আগে কোটা-বিরোধী আন্দোলন করেছিল, তারা কয়জন পাবলিক সার্ভিস কমিশনে পরীক্ষা দিয়েছিল আর কতজন পাস করেছিল,‘সেই হিসাবটা একটু বের করা দরকার’।
রোববার এ নিয়ে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীও। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে, সেটি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন,‘আমি এই বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলতে চাই, অনেক সময় জনপ্রিয় অনেক বিষয়কে পুঁজি করে ষড়যন্ত্রকারীরা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। সেই ফাঁদে যেন আমরা পা না দিই।’
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন,‘উচ্চ আদালতে বিচারাধীন এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো রায় আমাদের সর্বোচ্চ আদালত থেকে না এলে, এই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা আদালত অবমাননার শামিল হবে।’
কী আছে শিক্ষার্থীদের চার দফায়?
২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন তখনকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
কিন্তু তখন সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে) কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত।
পরে এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু গত ৯ জুন প্রাথমিক শুনানির পর আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়।
এই অবস্থায় কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত ১ জুলাই থেকে যে আন্দোলনে নেমেছে সেখানে চারটি সুর্নিদিষ্ট দাবি জানানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো
প্রথমত, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।
দ্বিতীয় দাবি হচ্ছে, পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেয়া (সুবিধা বঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ছাড়া)।
তৃতীয়ত, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া।
তাদের সর্বশেষ দাবি হচ্ছে,‘দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র’ নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
তৌহিদ সিয়াম নামের এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন,‘সুনির্দিষ্ট কমিশন গঠন করে কোটা পদ্ধতির সংস্কার ছাড়া এই সঙ্কটের কোনো সমাধান হবে না। কোটার নামে যে বৈষম্য ফিরিয়ে আনা হলো সংস্কার না হলে এই সঙ্কট কাটবে না। আন্দোলন থেকেও আমরা সরব না।’
সূত্র : বিবিসি