পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে আ’লীগের মিল খুঁজে পেলেন মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেধক
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর ২৫ মার্চ রাতের ভূমিকা আজকের এই দিনের ঘটনার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনি সেটি দেখতে পান কিনা প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরাও অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি যে আজকের আওয়ামী লীগ সেই ভূমিকা নিয়েছে, যে ভূমিকা ‘৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী নিয়েছিল।

মঙ্গলবার রাতে গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন। এর আগে, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সাথে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজো কমিটি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার ছাত্রদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কার্যকরী উদ্যোগের পরিবর্তে সরকার ঠান্ডা মাথায় বল প্রয়োগ করছে। ছাত্রলীগ, অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মী ও পুলিশ বাহিনী যেভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন ও গুলি বর্ষণ করে সাতজনকে হত্যা করা হয়েছে, এর তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এর পুরো দায় দায়িত্ব সরকার ও সরকারি দলের।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকারের উচ্চমহল থেকে উস্কানি দিয়ে ছাত্রলীগকে শান্তিপূর্ণ যৌক্তিক আন্দোলন মোকাবিলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তা গত দু’দিনে সমস্ত ঘটনার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। আমরা এ পরিকল্পিত সন্ত্রাসের তীব্র প্রতিবাদ করে জানাতে চাই, সরকার দমন নিপীড়ন করে একটি বৈরী পরিবেশ তৈরি করেছে। গত দু’দিনে আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি, সেই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হয়নি।’

২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের’ গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।

কোটা সংস্কারের অবস্থার ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘যখন সরকার বাহিনীকে ব্যবহার করে আমাদের সন্তানদের ওপর গুলি করে হত্যা করে, তখন রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না। প্রয়োজনে আমরা দেশবাসীকে নিয়ে বড় আন্দোলনে যাব, আমাদের সন্তানদের রক্ষার্থে।’

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
LifePharm