দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি। এ সময় বিভিন্ন স্থানে সঙ্ঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের হাতে আসা শেষ খবর পর্যন্ত অন্তত ১০৩ জন নিহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ১৪ জন পুলিশ সদস্য। সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশসহ সিরাজগঞ্জে ২৩ জন, ফেনীতে ৮ জন, লক্ষীপুরে ৮ জন, নরসিংদীতে ৬ জন, ঢাকায় ১১ জন, কিশোরগঞ্জে ৫ জন, মুন্সীগঞ্জে ৪ জন, বগুড়ায় ৫ জন, পাবনায় ৩ জন, মাগুরায় ৪ জন, ভোলায় ৩ জন, রংপুরে ৪ জন, শেরপুরে ৩ জন, সিলেটে ৬ জন, কুষ্টিয়ায় ২ জন, কুমিল্লায় পুলিশ সদস্যসহ ৩ জন, হবিগঞ্জ ১ জন, জয়পুরহাট ১ জন, কক্সবাজারে ১, বরিশালে ১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ বিষয়ে নয়া দিগন্তের প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ তুলে ধরা হচ্ছে,
সিরাজগঞ্জের থানা হামলায় ২৩ জন নিহত
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানা হামলায় অন্তত ১৩ পুলিশসহ ২৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইডি বিজয় বসাক বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলায় ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
ফেনীতে নিহত ৮
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবির সমর্থনে নামা আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা করেছে। এতে আটজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অর্ধশতাধিক।
লক্ষীপুরে নিহত ৮
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে আটজন নিহত এবং শতাধিক গুলিবিদ্ধসহ দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। আজ রোববার (৪ আগস্ট) লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
এ সময় পৌরসভার তমিজ মার্কেটের পাশে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহউদ্দিন টিপুর এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এমপি নুরুদ্দিন চৌধুরী নয়নের বাসা হামলা ও আগুন দেয়া হয়।
নিহতরা কলেজছাত্র হলেন মো. কাউসার, আফরান, সাব্বির ও মিজান হোসেন। এছাড়া যুবগীলগের নিহতরা হলেন, হারুন মেম্বার, মো. সুমন, রিয়াজ পাটওয়ারী ও অজ্ঞাত একজন।
এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. অরূপ পাল।
নরসিংদীতে নিহত ৬
নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার মাধবদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এর জের ধরে আওয়ামী লীগের ছয় কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন উত্তেজিত জনতা। এছাড়া তাদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছেন চার আন্দোলনকারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার (৪ আগস্ট) আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে বের হলে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা তাদের প্রতিহত করতে মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের মধ্যে সুমন মিয়া (৩৫), সোহেব (৪১), আল আমিনকে (২৫) নরসিংদী সদর হাসপাতালে এবং মীর জাহাঙ্গীরকে (৩০) মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রাজধানী ঢাকায় নিহত ৮
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিক্ষোভকারীরা চারজনের লাশ নিয়ে গেছেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিহত চারজনের লাশ নিয়ে বিক্ষোভকারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান। এ সময় আন্দোলনকারীরা নানা স্লোগান দেন। সেখান থেকে আন্দোলনকারীরা রাজধানীর শাহবাগ যাওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে পুলিশ বাধা দেয়। এছাড়া আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন-আনোয়ারুল ইসলাম (৬০), আবদুল্লাহ সিদ্দিকী (২৩), রমিজ উদ্দিন রূপ (২৪), জুয়েল (২৮), তাহিদুল ইসলাম (২২), জহির উদ্দীন। দুইজনের নাম–পরিচয় জানা যায়নি। তবে একজনের বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। এছাড়া রাজধানীর জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া এক কিশোরের লাশ রাতে ঢাকা মেডিক্যালে আনা হয়। চিকিৎসকেরা মৃত্যু নিশ্চিত করার পর তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয়। ওই কিশোরের নাম–পরিচয় জানা যায়নি।
কিশোরগঞ্জে নিহত ৫
কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে সঙ্ঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াল এলাকার দিলু মিয়ার ছেলে ও যুবলীগ কর্মী মো: মবিন মিয়া (৩২), সদরের যশোদল বীরদাম পাড়া এলাকার অঞ্জনা বেগম (৩৫), জেলা শহরের নিউ টাউন এলাকার জুয়েল মিয়া (৩০), শহরের কালিবাড়ি এলাকার একটি মোটর পার্টসের দোকানের মালিক মো: আব্দুল্লাহ (৩৫) ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলামের বাড়ির দারোয়ান জুলকার মিয়া।
মুন্সিগঞ্জে নিহত ৪
মুন্সিগঞ্জ শহরে সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে আন্দোলনকারীদের সাথে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্ঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহত হয়েছেন। সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন শতাধিক।
আজ রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। বিকেল ৩টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে সঙ্ঘর্ষ চলছিল।
নিহতরা হলেন শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার প্রয়াত কাজী মতিন ফরাজীর ছেলে রিয়াজুল ফরাজী (৩৮), একই এলাকার মো: সজল (৩০) এবং হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকার মেহেদী হাসান। তাদের মধ্যে রিয়াজুল ও সজল ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতাল নেয়ার সময় মেহেদী হাসান মারা যান বলে জানান তার স্বজনেরা।
বগুড়ায় নিহত ৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সাথে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সঙ্ঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। তারা তিনজনই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে।
নিহতদের একজন হলেন রংপুর সিটি করপোরেশেনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পরশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারাধন রায়। সংঘর্ষ চলাকালে শহরের কালিবাড়ি গেটের পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে লোকজন। কাউন্সিলরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটির ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহমুদুর রহমান টিটু।
পাবনায় আ.লীগের গুলিতে নিহত ৩
পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। এ ঘটনায় ৫০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া তত্ত্বাবধানে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীরা পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের আব্দুল হামিদ সড়কের জেবি মোড়ে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীরা নানা শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সমাবেশে পেছন থেকে অতর্কিত গুলি বর্ষণ করা করা হয়।
এ ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম (১৯), মাহবুবুল হোসেন (১৬) ও ফাহিম (১৭) নামের তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাগুরায় নিহত ৪
কোটা সংস্কার আন্দোলনে এক দফা দাবি ঘিরে মাগুরায় সকাল থেকে দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের সময় গুলিতে অন্তত তিনজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলনকারী ছাত্ররা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পারনান্দুয়ালী এলাকায় ঢাকা-মাগুরা মহাসড়কের ওপর অবস্থান নেয়।
নিহতরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী (২৫), মহম্মদপুরের বালিদিয়া গ্রামের যুবক সুমন শেখ (২৬), একই উপজেলার ইউনুস মিয়ার ছেলে আহাদ (১৮) এবং শ্রীপুরের রায়নগর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যুবদলকর্মী ফরহাদ (২২)।
ভোলায় নিহত ৩
ভোলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে বিক্ষোভকারীদের সাথে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্ঘর্ষে আজ রোববার তিনজন নিহত হয়েছেন। সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সঙ্ঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
বিএনপির দাবি, তাদের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দাবি, তাদের এক যুবলীগ কর্মীকে বিক্ষোভকারীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে।
রংপুরে নিহত ৪
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সাথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের ডা. অধ্যাপক আনোয়ারুল হাসান নিশ্চিত করেছেন।
শেরপুরে নিহত ৩
শেরপুরে সরকার পতনের দাবিতে একদফা আন্দোলনে নামা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের টহল গাড়ির চাপায় অনন্ত তিনজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। আজ ৪ আগস্ট রোববার বিকেলে শহরের খরমপুর এলাকার এ নিহত হয়।
নিহতরা হলেন আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের ছাত্র ও জেলা শহরের বাগরাকশা মহল্লার বাসিন্দা তুষার (২৪), আইটি উদ্যোক্তা জেলা সদরের পাকুড়িয়া চৈতনখিলার মাহবুব (৩০)। অন্যজনের নাম এখনো জানা যায়নি।
সিলেটে নিহত ৬
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের এক দফা দাবি কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সাথে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষে এতে ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এক নিহতের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছে স্থানীয়রা।
রোববার (৪ আগস্ট) বেলা আড়াইটার দিকে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার ধারাবহরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গুলিবিদ্ধ হয় তারা।
নিহতরা হলেন উপজেলার বারকোট গ্রামের মৃত মকবুল আলীর ছেলে তাজ উদ্দিন (৪০), ঘোষগাঁও ফুলবাড়ি গ্রামের গৌছ উদ্দিন (৩৫), শিলঘাট গ্রামের কয়ছর আহমদের ছেলে সানি আহমদ (২২), দক্ষিণ রায়গড় গ্রামের মৃত সুরই মিয়ার ছেলে হাসান আহমদ (২০), দত্তরাইল বাসাবাড়ি এলাকার আলাই মিয়ার ছেলে মিনহাজ আহমদ (২৩) ও একই উপজেলার নিশ্চিন্ত গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. শাহিন আহমদ।
কুমিল্লায় নিহত ৩
কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ মিছিলে আন্দোলনকারীদের সাথে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার দেবিদ্বার সদরের নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সময় নিহত হয়েছেন রুবেল হোসেন (৩২) নামের একজন বাসচালক। তিনি দেবিদ্বার উপজেলার বাড়েরা গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। এ সময় নুরনবী নামের এক শিক্ষার্থী ও ইলিয়টগঞ্জে এরশাদ নামে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হন।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জয়পুরহাটে নিহত ১
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে জয়পুরহাট শহর। পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন মেহেদী হাসান নামে এক আন্দোলনকারী। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, আন্দোলনকারী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।
রোববার বেলা ১১টায় বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে শহরের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। এরপর সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।
কক্সবাজারে নিহত ১
কক্সবাজার শহরে আন্দোলনকারীদের সাথে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরো ৯ জন।
রোববার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহীদ সরণি সড়ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডাক্তার আশিকুর রহমান বলেন, হাসপাতালে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় আনা হলে তার মৃত্যু হয়। তবে নিহতের পরিচয় মেলেনি।
বরিশালে নিহত ১
বরিশালে আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষে টুটুল চৌধুরী (৬২) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। রোববার দুপুরের দিকে নগরীর সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের পাশে আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষে প্রাণ হারান তিনি।
নিহত টুটুল চৌধুরী বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।