বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, এই আন্দোলনে প্রতিটি শহীদ আমাদের জাতীয় বীর। তাদের চরম সাহসিকতার দৃশ্য সারা দেশ এমনকি সারাবিশ্ব দেখেছে। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের নতুন করে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা সদরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে এক নাগরিক শোকসভায় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠান শেষে জামাতের আমির নিহতদের কবর জিয়ারত ও তাদের পরিবারের সদস্যের সাথে দেখা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
জানা যায়, সিলেটের গোলাপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত সাত শহীদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির জিন্নুর আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও পৌর জামায়াতের নায়বে আমির রেহান উদ্দিন রায়হান ও উপজেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এহতেশামুল আলম জাকারিয়ার যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শোক সভায় তিনি গোলাপগঞ্জের সাত শহীদসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনে সকল হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ জামায়াতের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির ফখরুল ইসলাম, নায়েব আমির মাওলানা সোহেল আহমদ, সিলেট জেলা দক্ষিণ জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ, জেলা উত্তরের আমির হাফিজ আনোয়ার হোসেন খান, সেক্রেটারি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ আল হোসাইন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজ নজমুল ইসলাম, গোলাপগঞ্জ পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল খালিক, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ ও ঢাকা দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রহিম প্রমুখ।
শোক সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ও পৌর জামায়াত এবং ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ।