সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেধক
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএস এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল তাকে আটক করে।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ডা. দীপু মনিকে আটকের অভিযানে থাকা ডিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বারিধারা ডিওএইচএস থেকে সাবেক মন্ত্রী দীপু মনিকে আটক করেছে ডিবি গুলশান বিভাগের একটি দল। তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর এবং ঢাকায় মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হতে পারে। এখনই দীপু মনিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও তার বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ জুলাই রাত ৮টায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও তার বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুর প্রত্যক্ষ নির্দেশে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের জেএম সেনগুপ্ত রোডের মনিরা ভবন নামে বাড়িতে ১০০০ থেকে ১২০০ লোক দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা, ভাঙচুর করে।

পরে তারা ওই ভবনে আগুন দিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

এদিকে সোমবার দীপু মনি, তার স্বামী তৌফীক নাওয়াজ এবং বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

ডা. দীপু মনি চাঁদপুর-৩ আসন থেকে টানা চারবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হন।

এরমধ্যে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে সেই সরকারের মন্ত্রিসভায় দেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন ডা. দীপু মনি।

দশম সংসদ নির্বাচনের পর তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পান। সবশেষ দ্বাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন তিনি।

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
LifePharm