রাওয়ালপিন্ডিতে যে ফলাফল আসছে তা নিশ্চিত। শেষ দুই দিনের লড়াইয়ে থাকছে রোমাঞ্চ। হতে পারে যেকোনো কিছুই। তৃতীয় দিনশেষে সমান সম্ভাবনা আছে এখনো দুই দলেরই৷ তবে খেলার মোড় নির্ধারণী দিন হবে আজই। আজ চতুর্থ দিনেই বোঝা যাবে কোন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিন পর্যন্ত লড়াই ছিল সমানে সমান। প্রথম দিনটা বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলেও পরের দুইদিনে কেবল রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। এই সময়ে দুই দলই অলআউট হয়েছে একবার করে। তবে কেউ পারেনি একক আধিপত্য ধরে রাখতে।
রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে আগে ব্যাট করে ২৭৪ রানে থামে পাকিস্তান। জবাবে লিটন দাস আর মিরাজের রেকর্ড জুটিতেও লিড ভাঙা হয়নি বাংলাদেশেরও। রয়ে যায় মাত্র ১২ রানের ব্যবধান। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ৭৮.৪ ওভারে ২৬২ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে অবশ্য স্বস্তিতে নেই তারাও। ৩.৪ ওভার ব্যাট করেই হারিয়ে ফেলেছে ২ উইকেট, রান এসেছে ৯। আব্দুল্লাহ শফিক (৩) ও খুররম শাহজাদকে ০ রানে ফেরান হাসান মাহমুদ। আর সব মিলিয়ে তৃতীয় দিন শেষে ২১ রানে এগিয়ে পাকিস্তান।
অথচ দিনের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে রোববার তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু নতুন দিনে ১৬ রান যোগ করতেই হারায় ৬ উইকেট। শঙ্কা দেখা দেয় নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাবার।
তবে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানো দলকে টানতে থাকেন লিটন দাস ও মেহেদী মিরাজ। শুরুটা দেখেশুনে হলেও এরপর দারুণ খেলছেন দু’জনে। জুটিটাও জমে উঠে বেশ। একটা সময় চড়াও হয়ে উঠেন দু’জনে। দু’জনেই তুলে নেন ফিফটি। এগুতে থাকেন শতকের দিকে।
তবে ৫১.৫ ওভারে এসে মিরাজের বিদায়ে ভাঙে ২৪৫ বলে ১৬৫ রানের জুটি। ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ৫০ রানের কমে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটের সবচেয়ে বড় জুটিটা এখন তাদেরই। পেছনে ফেলেছেন রাজ্জাক-কামরানের ১১৫ রানের জুটি।
এই রেকর্ড জুটি ভেঙে ১৯১ রানের মাথায় মেহেদী মিরাজ ফিরলেও লিটন দাস হাল ছাড়েননি। তাসকিন দ্রুত ফিরে গেলেও হাসান মাহমুদকে নিয়ে ১৭১ বলে তুলে নেন টেস্টে নিজের ষষ্ঠ শতক। হাসানের সাথে মিলে যোগ করেন ১৫০ বলে আরো ৬৯ রান।
লিটন-হাসানের জুটিতে অবশ্য লিড ভাঙার পথেই ছিল বাংলাদেশ। তবে আগা সালমান ৩ বলের মাঝে ২ উইকেট নিয়ে শেষ টানেন বাংলাদেশের ইনিংসের। ওভারের দ্বিতীয় বলে ফেরেন লিটন, ২২৮ বলে ১৩৮ রান করে শেষ হয় তার অবিস্মরণীয় ইনিংস।
এখন পর্যন্ত যদিও চালকের আসনে বাংলাদেশ, তবে হতে পারে যেকোনো কিছুই। একটা বড় জুটি কিংবা একটা ভালো স্পেল, গুঁড়িয়ে দিতে পারে জয়ের স্বপ্ন। ফলে দেখেশুনে খেলার বিকল্প নেই। সেই সাথে সকালের সুবিধাটাও নিতে হবে৷
গতকাল শেষ বিকেলে হাসান মাহমুদ জোড়া উইকেট নিয়ে খানিকটা ভালো রেখেছেন বাংলাদেশকে। আজ (সোমবার) সকাল সকাল আরো কয়েকটি উইকেট তুলে নিতে পারলে চাপ বাড়বে পাকিস্তানের উপর। যেই দায়িত্ব নিতে হবে পেসারদেরই।